আজ বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

শূন্য পদেই মেয়াদ পূরন

বিশেষ প্রতিবেদকঃ

পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠনের ২ বছর পরেও শূন্য থাকা ৬টি পদ পূরণ করতে পারেনি জেলা আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা। কয়েক দফায় কমিটির কার্য নির্বাহীর সভায় একের পর এক নাম শূন্য পদ পূরনের জন্য প্রস্তাবনা উঠলেও একে অপরের বিরোধীতায় তা ভন্ডুল হয়েছে। সব শেষ পদসমূহ পূরণ করার জন্য সভাপতি, সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে দায়িত্ব দেয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ফলে শূন্য পদ রেখেই পুরো কমিটি মেয়াদ উত্তির্ণের দিকে এগোচ্ছে।

২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর আওয়ামী লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ। সেসময়েই ৫টি শূন্য পদ তৈরী হয়ে পরে। পরবর্তী সময়ে শ্রমিক নেতা কাউসার আহমেদ পলাশ সরে দাঁড়ালে শূন্য পদ সংখ্যা দাঁড়ায় ৬-এ। কিন্তু এই পদ পূরণের লক্ষ্যে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, নাসিক মেয়র, মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী সহ বেশ কয়েকজন নেতা প্রস্তাবনা দেন। কিন্তু এসকল প্রস্তাবনার বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ায় শেষ পর্যন্ত কোনটিই আলোর মুখ দেখেনি।

জানা যায়, দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় পরে ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবর ৩ সদস্য বিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কমিটির ঘোষণা দেয়া হয়। এতে আবদুল হাইকে সভাপতি, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে সহ-সভাপতি এবং আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। এই ঘোষণার এক বছর পর ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর ৭৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। তবে কমিটিতে কেন্দ্র থেকেই বাদ থেকে যায় ৫টি পদ।

তবে শূন্য পদ পূরনের লক্ষ্যে পরবর্তীতে দায়িত্ব অর্পন করা হয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের উপর। কিন্তু এই দায়িত্ব দেয়ার পরেও তাদের ৩ জনের মতবিরোধ থাকায় কোনভাবেই পূরণ হয়নি কমিটি শূন্য পদ। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী এ বছরেই শেষ জেলা আওয়ামী লীগ কমিটির মেয়াদ। হাতে মাত্র ৪ মাস থাকায় এই পদ পূরন হচ্ছেনা বলেই ধরে নেয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের মতে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে দুইটি বলয়ের মাঝে একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্র বিরুদ্ধাচারনের ফলেই পূরণ হচ্ছেনা এসকল শূন্য পদ।

কমিটিতে এখন পর্যন্ত খালি থাকা পদগুলো হচ্ছে, ৭ নম্বর সহ সভাপতি, ১২ নম্বর সহ সভাপতি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং ৩৫ নম্বর সদস্য পদ। এর মধ্যে ১২ নম্বর সহ সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ কমিটি ঘোষণার কিছু দিন পূর্বেই ইন্তেকাল করেন। অন্যদিকে শ্রম বিষয়ক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ কমিটি ঘোষণার পর তার থেকে সরে দাঁড়ান।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনার কারনে নতুন করে এই কমিটির পদ পূরনের সম্ভাবনা একেবারে নেই বললেই চলে। তবে পদ শূন্য রেখে কমিটির মেয়াদ শেষ করার মাধ্যমে বর্তমান কমিটি তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতার প্রমান রেখেই বিদায় নিবে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ